অনলাইন ডেস্কঃ চাহিদা ও সরবরাহের নিরিখে সম্প্রসারিত হচ্ছে বৈশ্বিক রিয়েল এস্টেট খাত। এ খাতের লেনদেনের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে প্রাইম প্রপার্টি নামে পরিচিত বিলাসবহুল আবাসনগুলো, যেখানে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মূল্য। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, খরুচে বাড়ির চাহিদার দিক থেকে আমেরিকা ও ইউরোপকে টেক্কা দিচ্ছে এশিয়ার কিছু শহর। এতে অবশ্য বাদ পড়েছে আবাসন নিয়ে সংকটে থাকা চীনের শহরগুলো। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
রিয়েল এস্টেট খাতের পরামর্শক নাইট ফ্রাঙ্ক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এশিয়ার বেশকিছু শহরে বিলাসবহুল বাড়ির দাম ক্রমে বাড়ছে। অন্যদিকে একই সময়ে নিউইয়র্ক ও লন্ডনের মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোয় নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষণীয়।
নাইট ফ্রাঙ্কের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভারতের বিকাশমান অর্থনীতির সঙ্গে মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি বেশ সংগতিপূর্ণ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বৈশ্বিক জিডিপি হিস্যায় ২০২৮ সালে শীর্ষ অবদানকারী হয়ে উঠবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অতিধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে ভারত।
আরও পড়ুন বিনিয়োগ আকর্ষণে আমিরাতের নতুন ছক
এশিয়ায় বিলাসবহুল আবাসনের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী স্থানে রয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাঝে দেশটির অর্থনীতি সবচেয়ে শক্তিশালী হারে প্রসারিত হচ্ছে, এর প্রভাব পড়েছে ম্যানিলায় আবাসন খাতে। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দুর্বল বিনিময় হার ও ঋণ বাবদ খরচ কম হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে জাপানের রাজধানী টোকিও এখন বেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য।
এ বিষয়ে নাইট ফ্রাঙ্কের গবেষণা দলের বৈশ্বিক প্রধান লিয়াম বেইলি জানান, দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সাময়িক নয়, বরং তুলনামূলক স্থিতিশীল চাহিদার কারণে প্রপার্টির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে কম সরবরাহের বিপরীতে বিলাসবহুল আবাসনের চাহিদা ক্রমে বেড়ে চলেছে। সামগ্রিকভাবে এ প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে।
এদিকে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এশিয়ার আরেক আবাসন বাজার দুবাইয়ের চিত্র তুলে ধরেছে নাইট ফ্রাঙ্ক। সেখান বলা হয়, প্রাইম প্রপার্টির বিক্রির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে লন্ডন ও নিউইয়র্কের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে দুবাই। দুবাইয়ে ১ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বাড়ি বেড়েছে ২৬ শতাংশ। চলতি বছর এ বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে।
ভাষান্তর: বণিক বার্তা
Leave a Reply